Thursday, January 19, 2017

সর্বরোগহর

সর্বরোগহর

বচসা বিলাপের দিন শেষ। এখন রাঙানোর দিন। দেওয়াল রাঙানো থেকে চোখ রাঙানো। ফুটপাথ থেকে ওভারহেড ব্রীজ রঙিন হয়েছে। নৌকা থেকে নবান্ন। নীল আর সাদা। মোদ্দা কথা রঙিন। সঙ্গে গান।কখনো রবীন্দ্র, কখনো অতুলপ্রসাদ। যে ঋতুতে যা যায়। মানে খায় । পাবলিক। একাজ মোটামুটি শেষ। বাকিটা চলছে। চলবে নিয়ম মোতাবেক। *** এখন চোখ রাঙানোর সময়। নব্য থেকে পুরাতন। সব্বাই চোখ রাঙিয়েই আছেন। পান থেকে চুন খসার প্রয়োজন নেই। সরকারে থাকতে গেলে একটু-আধটু রাঙাতেই হয়। নইলে নাকি নাম বাড়ে না। অতএব, নামের জন্য প্রাণপাত। একটু চমকে। একটু ধমকে কাজ হলে ভালো। নইলে, চপেটা থেকে লাঠ্যৌষোধী তো আছেই। আর আছেন কিছু স্তাবকবৃন্দ। তাঁরা জানেন। কিভাবে রাঙাতে হয়। গণ্ড থেকে গঞ্জ। *** গঞ্জের বাসিন্দা আমি। ভয়ে ভয়ে থাকি। পিতৃদত্ত দুটি বৈ তিনটি গণ্ড তো নাই। সর্বরোগহর ভেবে ডেকে আসন দিয়েছি। পাত পেড়ে ভাত বেড়েছি। ভাতের পাতে চব্য-চোষ্য-লেহ্য-পেয় আয়োজন। ভালোবেসেই। রোগহর নিদান তো মিলবে। এখন দেখি আমারই আঁচল ধরে টানাটানি। সম্ভ্রম বাঁচানোই দায়। ঘর ভাঙা চিৎকারে আকাশ বাতাস বিদীর্ণ করেও বিচার মেলে নাহ। সবই নাকি ছোট্ট ঘটনা। চক্রান্ত। *** চক্রান্ত বলে চক্রান্ত। এমন এর আগে দেখিনি বাপু ! সব্বাই কিনা হাত ধুয়ে পিছনে পরে গেল। এমন কি সাংবাদিকগুলোও। একদিন যারা সর্বরোগহর বলে প্রচার করেছিল। রেল থেকে বেইল আউট সব রোগের নিদান দেখেছিল হাতে। বলেছিল দশভূজা। যে গুলোকে নাইয়ে-খাইয়ে মোটা সোটা করলাম। সেগুলোই কিনা গেল বিগড়ে। বলছিলাম নতুন প্রেস কর্নার গড়ে দেব রাইটার্সে। ঘোড়ার ডিম । এবার ওগুলোকেই আটকে দেব নবান্নের সাজানো গোছানো ঘরে। নির্দেশ দোতলার ওই ঘর দুটো থেকে বেরোন মানা। বেরোলেই পিছনে ফেউ। না মানলেই গ্রেফতার। জানানো হয়েছে এই নয়া ফরমানের সঙ্গে অভ্যস্ত হোন সংবাদ কর্মীরা। নইলে ... হু হু বাবা... *** শুরুতেই বলেছিলাম। এখন বচসা বিলাপের দিন শেষ। এখন চোখ রাঙানোর সময়।
ত্রিভ ৯/১২/২০১৪

No comments:

Post a Comment